মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া থেকে ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সাবেক এক ইউপি সদস্যেকে দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে অপর এক ইউপি সদস্যের লোকজন। নিহত ইউপি সদস্যের নাম মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি রাজাখালী ৮ নং ওয়ার্ড়ের সাবেক ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়নের নতুন ঘোনা গ্রামের মৃত আশকর আলীর পুত্র। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী হাসপাতালে অঝোর নয়নে কাঁদছেন। তার কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। সেখানে এক শোকাহত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় নিহত ইউপি সদস্যের মাথার সামনে গুলির আঘাত ও পিঠে ৭টি ধারালো কুপের চিহ্ন দেখা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. জাকের হোছাইন কিছু লোক পাঠিয়ে রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা গ্রামের বাড়ী থেকে সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে শরৎঘোনায় ডেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর শরৎ ঘোনা দুবাই প্রবাসী আবদুল খালেকের বাড়ীর পার্শ্বের খোলা জায়গায় নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। নিহতের পরিবার আরো অভিযোগ করেছেন, মগনামা শরৎঘোনা গ্রামের ইউপি সদস্য জাকের হোসেনের প্রত্যক্ষ ইন্দন ও সহায়তায় একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মনিয়া, আবুল কালাম, নবী হোসেন, সিরাজুল ইসলামসহ একদল অস্ত্রধারী লোক দেলোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহতের ছেলে ও বান্দরবান ফায়ার ষ্টেশনের কর্মচারী কবির হোসেন অভিযোগ করেছেন, তার নিরীহ পিতাকে শরৎঘোনা এলাকার জাকের মেম্বারসহ তার লোকজন পিকনিকে দাওয়াত খাওয়ার নামে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ বিচার দাবী করেছেন।
পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় এখনো নিহতের পরিবার থেকে থানায় এজাহার দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানালেন ওসি।
পাঠকের মতামত: